অমাবস্যা ও উজানের ঢলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে বরিশাল বিভাগে। খরস্রোতা নদীগুলোর পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। ফলে একদিনের ব্যবধানে আরো নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে গেছে।

রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঝালকাঠি জেলা সদর ও বরগুনার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিকেল ৩টায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম হয়। এছাড়া ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া পিরোজপুরের উমেদপুর এলাকায় কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। পাশাপাশি ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, বরগুনার আমতলী পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি বেড়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে বর্ষাকালে পানি বৃদ্ধির চিত্র স্বাভাবিক। অমাবস্যার প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে নদীর পানি আরো বাড়িয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে যেসব এলাকায় পানি ঢুকেছে উজানের ঢল নেমে গেলে নদীতীরবর্তী এসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগের ২৪ ঘণ্টার তথ্যে বিভাগের নদীগুলোর মধ্যে দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ পয়েন্টে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/জেডএস