সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ, ৩ গ্রামের ৭শ একর জমি পানিবন্দি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষিকাজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক পরিবার। গত দুই দিনে মুষলধারে পড়া বৃষ্টিতে ৩ গ্রামের ৭শ একর ফসলি জমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষিকাজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কয়েকশ কৃষক পরিবার।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের চত্বরে প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজসহ ৩টি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি মন্ডল স্লুইস খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহল তাদের স্বার্থের জন্য উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের প্রধান খালে ১২টির মতো বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এতে দুর্বিপাকে পড়েছে কয়েকশ কৃষি পরিবার। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে ফসলি জমিতে এখন ৩-৪ ফুট পানি জমে আছে। এতে ইউনিয়নের অন্তত ৭০০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ। এসময় খাল থেকে অবৈধ দখলদারদের বাঁধ অপসারণ করে কৃষকদের মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানায় তারা।
তারা আরও বলেন, আমাদের এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সমাধান চাই। তা না হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি খালটিতে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৬৫০-৭০০ একর জমিতে পানি জমে রয়েছে। এতে আমনসহ পরবর্তী মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হতে পারে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা ৫০টির বেশি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত অথবা মৌখিকভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সাহেবরা সেখানে গিয়ে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন। আমি ইউএনও সাহেবকে বলছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
আরকে