‘আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই’- এভাবেই ডায়রির পাতায় লেখা একটি চিরকুট পড়েছিল পোশাক শ্রমিক জাহানারা খাতুন জান্নাতির (২২) নিথর মরদেহের পাশে। তবে এ ঘটনার পর থেকেই জান্নাতির স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭) পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নাত আলীর মালিকানাধীন ভাড়াবাড়ি  থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত জাহানারা খাতুন জান্নাতি (২২) দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের মেয়ে। তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭)। পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। দুইজনই ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর ও হেলপার পদে চাকরি করতেন।

বাড়ি মালিক জিন্নাত আলীর মেয়ে সামছুনাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জান্নাতি-অনিক দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। তারা প্রতিদিনের ন্যায় আজও কারখানায় গিয়েছে বলে আমরা জানি। কিন্তু তারা আজকে কারখানায় কাজে না গিয়ে বাসাই ছিল। বিকেলে জান্নাতির খোঁজ নেওয়ার জন্য তার তিন সহকর্মী বাসায় আসে। পরে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে ঘরে তার নিথর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহের পাশ থেকে একটি ডায়রি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। কীভাবে এই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। 

আরকে