ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ৪৭ ঘণ্টা পর ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের গোয়ালপুকুর থানার এসআই মোস্তফা বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।

নিহত রাজু মিয়া (২০) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ল হার্ট ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের বাসিন্দা মো. হবিবরের ছেলে।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় সেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) সদস্যরা ছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত রাজু মিয়ার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফের কাছ থেকে মরদেহ পাওয়ার পরপরই স্বজনদের কাছে নিহত রাজুর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বড় পলাশ বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মিয়া।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাগরভিটা সীমান্ত এলাকায় বিওপি আওতাধীন মেইন পিলার ৩৭৬/৫এস থেকে ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তিনগাঁও নামক স্থানে নিহত হন রাজু মিয়া।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে ওই যুবকের মারা যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বিএসএফ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে নাগরভিটা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উভয় দেশের থানার পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে নিহত রাজুর মরদেহ বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

আরিফ হাসান/এসএসএইচ