টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ২নং সলিডারী স্পার বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে তীরবর্তী মানুষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। রাতে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ভাঙন বেড়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।

তীরবর্তী মানুষরা জানান, তিস্তার ভাঙন থেকে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলাকে রক্ষা করতে ২০০৪ সালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধনে ২নং সলিডারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পার বাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। এরপর একাধিকবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পার-২ এ ধস দেখা যায়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কোনো পদক্ষেপ নেন না। ফলে এবারও নতুন করে ধস দেখা দিয়েছে। যদিও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্থায়ী জরুরি প্রতিরক্ষা ও আপদকালীন বরাদ্দ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে পাউবো। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধের সামনের অংশের আরসিসি পার্ট ভেসে গিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।

ওই এলাকার আমিনুর রহমান জানান, প্রতিবছর তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পার-২ এ ধস দেখা যায়। কিন্তু যখন নদীতে পানি থাকে না তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এর খবর রাখে না। এখন পানি বেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্পার-২ এ ধস হয়েছে, এখন জিও ব্যাগ ফেলছে। আগে ব্যবস্থা নিলে কয়েকটি বাড়ি রক্ষা পেত।

সার্বিক বিষয়ে পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, বাঁধের সিসি ব্লক ধসে যাওয়ায় জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন থেকে রক্ষা করা হচ্ছে । এ বাঁধের জন্য মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে আরও জিও ব্যাগ নেওয়া হবে। তীরবর্তী মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এসএসএইচ