ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টে যমুনার পানি ৯ ও ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহর ও কাজিপুর উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সকল নদ-নদীর পানি পাশাপাশি বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শাকসবজি, বীজতলা ও রোপা আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই। পাশাপাশি জেলার কয়েকটি অংশে যমুনার পাড়ে হয়েছে তীব্র ভাঙন। 

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৮ মিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ মিটার। এই পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।

রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই। আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত যমুনার পানি বাড়তে পারে। এ সময়ে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৮০ সে.মি. ওপর পর্যন্ত যেতে পারে। তবে পরবর্তীতে ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি নেমে যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন রোধে ৫ হাজার জিও ব্যাগের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যদিও আগে থেকেই জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে