ফেসবুকে পরিচয়, তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই প্রস্তাব আসে দেখা করার। প্রেমিক রনি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ছোটেন, সঙ্গে নিয়ে যান চাচা ফিরোজ মোল্লা (৩০)। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন সবই আসলে ছিনতাইয়ের চক্রান্ত। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণও হারাতে হলো ফিরোজকে। রনিও হয়েছেন আহত।  

আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মোকামটেক এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। 

গতকাল সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ফিরোজের। 

নিহত ফিরোজ মোল্লা ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের চৌটাইল মহল্লার মৃত মতি মিয়ার ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন।

নিহতের মামাতো ভাই মঙ্গল মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, রনির সাথে ফেসবুকে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ৩০ জুন ফিরোজ মোল্লাকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে রনি সাভারের জামসিংয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। পরে তাদের অন্য জায়গায় যেতে বলা হয়। রনি ও ফিরোজ আশুলিয়ার মোকামটেকে গেলে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে ৩/৪ জন আসে ছুরি নিয়ে। ফিরোজ ও রনির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং মোটরসাইকেল নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ফিরোজ ও রনিকে ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। 

নিহতের ভাইয়ের ছেলে হায়দার মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে চাচার মৃত্যু হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাতের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় আমি একটি মামলা করেছিলাম। 

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাকসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

এনএফ