ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের দশ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য সংযোগ মাধ্যম ছিল কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপরে অস্থায়ীভাবে তৈরি কাঠের সেতুটি।  ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির তোড়ে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের হাজারো মানুষ। 

জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পিএসসি গার্ডার ব্রিজের পাশে বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, কাঠের সেতুটি লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, রেজিস্ট্রি অফিস, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ নিত্যদিনের চিকিৎসা ও হাট-বাজারে যাওয়া হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ায় ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর, মধ্যম চাঁদপুর, দক্ষিণ চাঁদপুর, নেয়ামতপুর, টংগীর পাড় ও তেরবাড়িয়াসহ দশ গ্রামের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল দাস বলেন, সেতুটি না থাকলে কষ্ট করে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হবে। আমাদের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এটি মেরামতের দাবি করছি।

আবদুল হক নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীদের পারাপারে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি বিষয়টি গুরুত্ব দেন তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুন চৌধুরী বলেন, পানির তোড়ে অস্থায়ীভাবে তৈরি কাঠের সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ শুরু হবে।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্ত বলেন, বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 
 
তারেক চৌধুরী/এনএফ