পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যশোর জেলাজুড়ে বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষরোপণ ও জেলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় শিল্পের টেকসই সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে চলতি বর্ষা মৌসুমে জেলায় ১ কেটি খেজুরের বীজ বপন ও ১৫ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, যশোরের আটটি উপজেলার মধ্যে অভয়নগরে ৩০ লাখ এবং বাকি সাতটি উপজেলার প্রতিটিতে ১০ লাখ করে খেজুরের বীজ বপন করা হবে। খেজুরের বীজ রোপণের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকালে অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে ৩ হাজার খেজুর চারা রোপণের মধ্য দিয়ে ৩০ দিনে ৩০ লাখ খেজুর বীজ রোপণের উদ্বোধন করবেন যশোর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার। যশোর জেলার খেজুর বীজ রোপণের উদ্বোধন করা হবে অভয়নগর উপজেলা থেকে। উপজেলার নদীর পাড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তার দুই পাসের খাস জমির মোট ২১ একর জমিতে বীজ রোপণ করা হবে। তবে কোনো ধরনের খেলার মাঠে এই খেজুর বীজ রোপণ করা হবে না।

এছাড়াও চলতি আষাঢ় মাসে পর্যায়ক্রমে বাকি উপজেলাগুলোতেও খেজুর বীজ বপনের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। খেজুর বীজ ও চারা বপনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। বরাবরের মতো সরকারি খাস জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও এবার ব্যক্তিগত জমিতে তৈরি করা ঘেরের দুই পাশ, সরকারি স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও বীজ ও চারা বপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাটি ক্ষয় রোধ এবং অবকাঠামোর স্থায়িত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি রাস্তা ও নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধের দুই পাশে খেজুর বীজ ও চারা বপনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মূলত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে গাছের পরিচর্যার লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দপ্তরগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ছয়টিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসনের উদ্বোধন কর্মকর্তা ও আট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এ্যান্টনি দাস অপু/এসএসএইচ