মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে হাত থেকে প্লেট পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিশুর উপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিক মিন্টুর বিরুদ্ধে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান থানায় এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন হোটেলমালিক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ধরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে ৭ বছরের ওই শিশু ইয়াসিন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধুপুর গ্রামে।

অভিযোগ উঠেছে, হোটেল মালিক মিন্টু তুচ্ছ কারণে শিশু ইয়াসিনকে প্রায়ই মারধর করতো। গত ২৫ জুন হোটেলে কাজ করার সময় অসতর্কভাবে একটি প্লেট ভেঙে ফেলে ইয়াছিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু শিশুটিকে হাতে-পায়ে ও পায়ুপথে লোহার শিক দিয়ে গরম ছ্যাঁকা দেয়। পরে দুই দিন হোটেল দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।

পরে স্থানীয় এক নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পাশের ঢাকার নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।

আহত ইয়াসিনের দাদা আব্দুস সাত্তার বলেন, ইয়াসিনের বাবা-মা তাকে ফেলে চলে যায় অনেক দিন আগে। আমি ওকে লালন-পালন করি। সবজি বিক্রি করে কোনোভাবে সংসার চলে আমার। তাই নাতি ইয়াসিনকে মিন্টুর কাছে কাজে দিয়েছিলাম।

এসব কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শিশু ইয়াছিন বলেন, তাকে মাঝেমধ্যেই মারধর করতো হোটেল মালিক মিন্টু। ওই দিন হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে লোহার রড গরম করে শরীর, হাতে-পায়ে ছ্যাঁকা দেয়।

সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই শিশু শ্রমিককে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব.ম শামীম/এমজে