সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আজমপুর ফেরিঘাটে সুরমা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে মা-মেয়েসহ তিনজন নিখোঁজের প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সুরমা ইউনিয়নের ভোজনারপার গ্রামের উদনার চরে (আমন কিত্তা) জোৎস্না বেগমের (৪২) মরদেহ ভেসে উঠে। তিনি পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের আইন উদ্দিনের স্ত্রী। তবে জোৎস্না বেগমের দেড় বছরের মেয়ে হাবিবা আক্তার (ময়না) ও পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের নুর আলীর মেয়ে গোলজান বেগমের (৭০) সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

সুরমা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ভোজনা গ্রামের উদনার চরে (আমন কিত্তা) জোৎস্না বেগমের মরদেহ ভেসে উঠে। আমি বিষয়টি থানার ওসিকে অবগত করি। তবে তার মেয়ে হাবিবা আক্তার (ময়না) ও গোলজান বেগমের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

দোয়রাবাজার থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে ভেসে উঠার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

নৌ-পুলিশ ছাতকের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলের দুই কিলোমিটার পশ্চিমে ভোজনারপারে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে আমরা গিয়ে জোৎস্না বেগমের মরদেহ উদ্ধার করি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দোয়রাবাজারে সুরমা নদীতে খেয়া পারাপারের সময় নৌকা ডুবে মা-মেয়েসহ তিনজন নিখোঁজ হন। উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর খেয়াঘাট থেকে দোয়ারাবাজার সদরে যাওয়ার জন্য তারা নৌকায় উঠেছিলেন। নৌকাটি মাঝ নদীতে যাওয়ার পর ঢেউয়ে হঠাৎ ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় চারজনকে উদ্ধার করতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হন।

এমজেইউ