আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা
ইতিবাচক ধারায় ফিরছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে রাজস্ব আয়ও। তবে ডলার সংকটসহ নানা কারণে পণ্য আমদানি কমেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ স্থলবন্দরে। যদিও চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া ভারতে নতুন পণ্যের বাজার তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাণিজ্য বাড়ায় গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আখাউড়া স্থলবন্দর। তারপর থেকে বন্দর দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, ফার্নিচার ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখান থেকে রপ্তানি পণ্য সরবরাহ হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে। বর্তমানে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি যাচ্ছে হিমায়িত মাছ ও সিমেন্ট। প্রতিদিন অন্তত ৫০ টন পাঙাশ, পাবদা ও কাতলসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং প্রায় ৭০ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। আর প্রতি টন মাছ আড়াই হাজার ডলার এবং প্রতি টন সিমেন্টের রপ্তানি মূল্য ৮৬ ডলার পর্যন্ত। সব মিলিয়ে দিনে প্রায় ২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় বন্দর দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪২৮ কোটি টাকার পণ্য, যা বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা বেশি। বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৭ কোটি টাকার পাথর, পেঁয়াজ, আদা ও জিরা। এ থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তবে রাজস্ব বাড়লেও নানা সংকটে আমদানি কমার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া রপ্তানি আরও বাড়াতে ভারতে নতুন পণ্যের বাজার খুঁজছেন তারা।
আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি দ্রুত ছাড়করণের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার থেকেও রাজস্ব আয় করে সরকার। বিদায়ী অর্থবছরে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব এসেছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ