বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে খুব বেশি সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফেরেননি। বাসায় থাকলেও তিনি অন্তরীণ। তার মুক্তিতে ২৮ অক্টোবর ও ১০ ডিসেম্বর আন্দোলনে কিছু করতে পারিনি। কিন্তু পারার দিন শেষ হয়নি। তাকে হত্যার জন্য ও অসুস্থ করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সব ধরনের কূটকৌশল করা হয়েছে। এটি হত্যার শামিল। তবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলার আস্থায় পরিণত হয়েছেন। এতে সারা দেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির আওয়াজ উঠেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের পুরাতন গোহাটা এলাকায় বশির ভিলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী আরও বলেন, সবশেষ ২০ জুন শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে অবৈধ ও দেশবিরোধী চুক্তি করে এসেছেন। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তিনি তা করতে পারতেন না। আমার বুকের ওপর দিয়ে রেল লাইন যাবে, এ চুক্তিতে দেশের মানুষ বসে থাকবে না। এটি একপাক্ষিক চুক্তি। হাসিনা মনে রাখবেন এই দিল্লি আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। আপনি দিল্লির সেবা দাসে পরিণত হয়েছেন। সরকার পার্শ্ববর্তী দেশকে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দিয়েছে। 

এ্যানী আরও বলেন, জনগণ শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে নামেনি। অধিকার আদায়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে। আমার ভোটের জন্য আমি রাজপথে নেমেছি। খালেদা জিয়া মানে গণতন্ত্র। খালেদা জিয়া মানেই ভোটের অধিকার। আর খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনলেই দেশে জনগণের সরকার থাকবে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনকি সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন। 

সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএফ