বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে পটুয়াখালীতে যুবদলের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী পৌর শহরের স্বনির্ভর সড়কের হোটেল রূপসী বাংলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। যদিও বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

আহতরা জানিয়েছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে লাঠিসোঁটা আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের মিছিলের ওপর হামলা করেন। এ সময় কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, পটুয়াখালীতে শহিদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে আমাদের নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সমাবেশে আসার পথে আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীরের নেতৃত্বে তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।  

আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, কলাপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন শিকদার, লিটু বিশ্বাস, গাজী সুমন ও কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম দীপুসহ আরও ১০ জন। আহতরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, বিএনপির সমাবেশে আমাদের কেউ হামলা করেনি। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সূত্র ধরে নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম বলেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ উত্তেজনা নিরসন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

আরএআর