২৯ ঘণ্টা পার হলেও খোঁজ মেলেনি সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ মা-মেয়েসহ তিনজনের। এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আজমপুর ফেরিঘাট পারাপারের সময় সাত যাত্রী নিয়ে একটি ছোট ট্রলার ডুবে যায়। নৌকার মাঝিসহ চারজনকে উদ্ধার করা গেলেও তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

নিখোঁজ তিনজন হলেন- জোৎস্না বেগম (৪২), তার দেড় বছরের মেয়ে শিশু ময়না এবং গোলজান বেগম (৭০)। নিখোঁজ তিনজন আজমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিখোঁজ হওয়া পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের গোলজান বেগমের ছেলে রসিক আলী ও জোৎস্না বেগমের ভাই হায়াত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আজমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকি। দোয়ারাবাজার সদরে যাওয়ার জন্য তারা (গোলজান বেগম ও জোৎস্না  বেগম) খেয়া নৌকায় উঠেছিলেন। মাঝ নদীতে গিয়ে স্রোতের কবলে পড়ে নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়।

আজমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা নীলুফা বেগম বলেন, জোৎস্না যাওয়ার আগে বলেছিল বাজারে নাকি ত্রাণ দেবে। এমন খবর পেয়ে দুই মেয়েসহ দোয়ারাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর এখনো তাকে পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজদের অপেক্ষায় স্বজনরা  

দোয়ারাবাজারের বাসিন্দা সোহাগ জানান, নিখোঁজ হওয়া জোৎস্না বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি প্রায় সময় সাহায্যের জন্য দিগ্‌বিদিক ছুটে যান। গতকালও একই উদ্দেশে বের হন তিনি।

দোয়ারাবাজার ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আব্দুল হান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ এসেছি। উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজরা উদ্ধার না হচ্ছে আমাদের কার্যক্রম চলবে।

তিনি আরও বলেন, নদী খুব গভীর, প্রবল বেগে স্রোত প্রবাহিত ও বন্যা পরিস্থিতি সব মিলিয়ে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছে।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ আমাদের ফোর্স পাঠাই। ফায়ার সার্ভিসের ডুবিরি দল ও আমাদের পুলিশ সদস্যরা একসঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এমজেইউ