পর্যটন এলাকা সাজেকে এখনো আটকা আছেন ছয় শতাধিক পর্যটক। সোমবার (১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়াতে খাগড়াছড়ি-সাজেকের বাঘাইহাট সড়ক ও বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যায়। এতে  সাজেকের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। 

সকাল গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার পরও সড়ক থেকে পানি না কমায় শেষ পর্যন্ত পর্যটকরা সাজেকে থাকতে বাধ্য হয়। সড়ক থেকে পানি না কমা পর্যন্ত কোনোভাবেই পর্যটকরা সাজেক ত্যাগ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, সকালের পর সাজেকে তেমন একটা আর বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে বিকেল পর্যন্ত বাঘাইহাট সড়কে পানি না কমায় পর্যটকরা সাজেক ত্যাগ করতে পারেনি। গাড়ি আসা-যাওয়া বন্ধ থাকায় সকলেই সাজেকে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সড়ক থেকে পানি কমবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের সুযোগ নেই। কাল সকালে পানি কমে যাবে এমনটা আশা করছি, এরপর পর্যটকরা সাজেক ত্যাগ করতে পারবে। যারা সচ্ছল তাদের থেকে আজকের রুমভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যারা পারছেন না, তাদেরকে মওকুফ করা হচ্ছে। কারো থেকে জোরজবরদস্তি করে ভাড়া আদায় না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টির মত গাড়ি সাজেকে এসেছে, আর বর্তমানে ছয়শতের মত পর্যটক আছেন বলে তিনি জানান।

সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সকালের পর বৃষ্টি আর হয়নি। তারপরও সড়ক থেকে পানি কমেনি। রাতে বৃষ্টিপাত না হলে কালকে সড়ক থেকে পানি সরে যেতে পারে। এরপর গাড়ি চলাচলের সুযোগ হবে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, টানাবৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সাজেকে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা আটকা পড়েছে। সড়ক থেকে পানি সরলেই তাদেরকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।

মিশু মল্লিক/আরকে