পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ইতোমধ্যে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এই প্রকল্প একনেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করব। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এখানে কাজ শুরু করতে পারব বলে আশাবাদী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। উজানে বর্ষা হলেই আমরা প্লাবিত হই। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের বাপ-দাদারাও এই ধরনের বন্যা দেখেছে। আমরাও দেখছি। আবার পরবর্তী প্রজন্মও এই বন্যা দেখে যাবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুরোধে আমি মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে এখানে এসেছি।

এ সময় ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তারেক চৌধুরী/এমজে