টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ভোগাই, সোমেশ্বরী ও মহারশী নদীর পানি। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃগী, দশআনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। এ অবস্থায় স্থানীয়রা আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করছেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪৬ সেন্টিমিটার, ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভাঙনের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষি ও মাছ চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এরইমধ্যে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঝিনাইগাতী সদর বাজারে পানি প্রবেশ করায় দোকানপাটে ঢুকে পড়েছে পানি। আর ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কে হাঁটু পানি।

এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে শেরপুরসহ আশপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, চলমান পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলায় দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান বলেন, ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ভাঙা স্থানে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মো.নাইমুর রহমান তালুকদার/জেডএস