মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাঙামাটিতে চলছে থেমে থেমে টানা বৃষ্টিপাত। তিনদিনের মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

সোমবার (১ জুন) মধ্যরাত থেকে পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করে। ফলে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। এতে উপজেলার সদর, বারবিন্দু, মাস্টার পাড়া, লাইন্যা ঘোনা, উলুছড়ি, এফ ব্লক, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, রুপকারি, পুরাতন মারিশ্যা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার বলেন, প্রতিবছরই বর্ষাকালে ঢল নেমে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। গতকাল রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করায় ঘরে পানি ঢুকে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেলে বাসাবাড়ি অনিরাপদ হয়ে যায়, তাই যাইনি। পানি বেশি উঠে গেলে চলে যাব। 

রুপকারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল মোতালেব বলেন, নদীর পানি বেড়ে আমাদের ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। ঘরের অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কত মানুষ পানিবন্দি তার সঠিক হিসাব বলতে পারছি না। ইতোমধ্যে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে সেগুলোতে কেউ এখনো আসেনি। আমরা উপজেলার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ শুরু করেছি। 

মিশু মল্লিক/আরকে