রাসেলস ভাইপার ৪০ মিলিগ্রাম বিষ দিলে মানুষ মারা যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী।

সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জনসচেতনতামূলক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, নোয়াখালীতেও রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। এই সাপ ডিম দেয় না তবে বাচ্ছা দেয়। বাচ্চা বড় হতে ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে বাচ্চা দেয়। রাসেলস ভাইপার কামড় দিয়ে ৪০ মিলিগ্রাম বিষ দিলে মানুষ মারা যাবে। তবে তাদের শরীরে সর্বোচ্চ ২০০-২৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ থাকে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে প্রায় চার হাজার প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ সাপ বিষধর বাকী ৮০ শতাংশ সাপ বিষধর নয়। বিশ্বে বছরে ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ মানুষ। তবে অনেকে না জেনে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মেরে ফেলছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১১৯ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক ১৬ প্রজাতির সাপ বিষধর। মূলত যেসব সাপ কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় সেইগুলো বিষধর আর যারা খাবার খাওয়ার সময় প্যাচ দিয়ে থাকে তারা বিষধর না। দেশে গোখরা, কেউটে, রাসেলস ভাইপার, সামুদ্রিক সাপ বিষধর। দেশের রাজশাহীসহ অনেক জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ আছে। ২০১৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী লাল তালিকার রাসেলস ভাইপার সংকটাপন্ন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়। সভায় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/এমজে