ভুক্তভোগী সাংবাদিক প্রবীর সাহা

কালের কণ্ঠের পাবনা জেলা প্রতিনিধি প্রবীর কুমার সাহাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ও বাইরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক প্রবীর সাহার অভিযোগ, পেশাগত দায়িত্ব পালনে দুপুরের দিকে জেলা পরিষদে যান তিনি। সেখানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল। এ সময় প্রবীর সাহা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে কথা শেষ হলে তাকে ডাকতে বলেন।

তখন হঠাৎ করেই জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল রাগান্বিত স্বরে প্রবীর সাহাকে বলেন, ‘হ্যাঁ আপনি কত বড় সাংবাদিক হয়েছেন, আমাকে বের হয়ে যতে বলেন। আপনি বের হয়ে যান।’ একপর্যায়ে প্রবীর সাহাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কক্ষের বাইরে নিয়ে যান তিনি। এ সময় চেঁচামেচি শুনে জেলা পরিষদে থাকা সোহেলের সমর্থকরা এসে প্রবীর সাহাকে শার্টের কলার ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন। পরে সেখানে থাকা জেলা পরিষদের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাইরে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল বলেন, প্রবীর সাহা হঠাৎ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এসে বলেন তার সঙ্গে কথা আছে। আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন বিষয়টি আমার মাইন্ডে লেগেছে। তাই কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি। 

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, আমি জেলা পরিষদের সদস্য সোহেল ও সাংবাদিক প্রবীর সাহা একসঙ্গে আমার কক্ষে আসি। ওই সময় সাংবাদিক প্রবীর সাহা আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি সোহেল সাহেবকে বলেন, আপনার কথা শেষ হলে আমি কথা বলব । এটা নিয়ে কেন জানি হুট করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তারা কক্ষের বাইরে চলে যান। সেখানে কী হয়েছে বলতে পারব না।

এদিকে সাংবাদিক প্রবীর সাহাকে মারধরের ঘটনায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে ঘটনা তদন্ত করে জেলা পরিষদ সদস্য সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছন।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর