সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। মেঘালয় সীমান্তের কাছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাড়াগাও এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। ঢলের এই পানিতে তাহিরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ক্রমেই পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। এতে আবার বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়।

গত ১৬ জুনের বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই আবার বন্যার কবলে পড়ছেন তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকার কারণে অনেকে ইতোমধ্যে বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

তাহিরপুর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা মোবাশ্বির আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, ঢলের পানিতে খুব স্রোত থাকার কারণে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। যার ফলে অনেকে স্রোতের দুই পাশে অপেক্ষা করছেন স্রোত কমার।

বালিজুরী এলাকার বাসিন্দা মুরাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বাড়ির উঠানে হাঁটু সমান পানি চলে এসেছে। দু-দিন ভালো যায়, দু-দিন পরেই শুরু হয় দুর্ভোগ। 

হাউসবোট মালিক আরাফাত অপু ঢাকা পোস্টকে জানান,  ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। অনেক নৌকা ঘাটের ওপরে উঠে আসছে। একটানা বৃষ্টি থাকায় বাজার জনশূন্য। মনে হচ্ছে পানি যেন সব গ্রাস করে নেবে ধীরে ধীরে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৭ মিলিমিটার। সুনামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে বিগত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে জানান, বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাড়ছে নদী ও হাওরের পানি। আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে নদীর পানি আরও বাড়তে পারি।

আরএআর