গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও ঢলের পানিতে বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার স্থানীয় সড়কগুলো। সড়কগুলো প্রায় মাসখানেক ধরে যোগাযোগের অযোগ্য হয়ে আছে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই উপজেলার লাখো মানুষের।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ৭ জুন থেকে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নলজুর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে যায় জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক। এরপর থেকে আজ (রোববার) পর্যন্ত  যান চলাচল বন্ধ রয়েছে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কে। ফলে রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও সৈয়দপুর-শাহাপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাগময়না গ্রামের ইউসুফ শিমুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় এক মাস যাবৎ জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে আছে। এতে আসা-যাওয়ায় সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।

সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কে পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

এ ছাড়া, গত ১৮ জুন ঢলের পানিতে এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাটলী ইউনিয়নের লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল-চন্ডিঢর সড়ক, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ভবেরবাজার-নয়াবন্দর সড়ক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর-দাওরাই সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই সব সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ছয় ইউনিয়নের প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ।

এদিকে জগন্নাথপুর পৌরসভার হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ডুবে যাওয়ায় ওই সেতু দিয়ে গত ১২ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যান চলাচলে বাড়তি চাপ বেড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহবার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যার কারণে ওই সব সড়কের অনেক অংশে এখনো পানি রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। পানি নেমে গেলে দ্রুতই মেরামত কাজের ব্যবস্থা করা হবে।

রায়হান আলীম তামিম/এমজে