স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে ননদের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন গৃহবধূ শিপ্রা রানী রূপা (২৫)। এ সময় অসতর্কতাবশত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শিপ্রা রানী রূপা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছঁয়গাও ইউনিয়নের সিংগাচুড়া এলাকার তপন হালদারের স্ত্রী। ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের শিপ্রা রানী রূপার সঙ্গে বিয়ে হয় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সিংগাচুড়া গ্রামের তপন হালদারের। তপন হালদার পেশায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার (২৮ জুন) স্বামী তপন হালদারের সঙ্গে কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামে ননদের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন শিপ্রা রানী রূপা। গতকাল শনিবার দুপুরে সেখান থেকে ভেদরগঞ্জে ফিরছিলেন তারা। ফেরার পথে শরীয়তপুরের আংগারিয়া ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ি এলাকায় এলে অসতর্কতাবশত তপন হালদারের মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান শিপ্রা রানী রূপা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের প্রতিবেশী কিরণ হালদার বলেন, দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে শিপ্রা রানী রূপা মাথায় গুরুতর পান। পরে ঢাকায় হাসপাতালে মারা যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল ওঝা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি গিয়েছিলাম। এমন দুর্ঘটনা হৃদয়বিদারক।

সাইফ রুদাদ/এমজেইউ