নেত্রকোণায় পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুজন চন্দ্র বর্মন (৩১) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও তিনজন। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮টার দিকে নেত্রকোণা সদরের কান্দুলিয়া নামক স্থানে বেপোরোয়া গতির একটি পিকআপের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সুজন বর্মনের স্ত্রী বিউটি চন্দ্র বর্মন (২৮), মেয়ে অধরা বর্মন (৬) এবং ভাগনে ইন্দ্রজিৎ বর্মন (১৯)। 

মৃত সুজনের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা গ্রামে। তার বাবার নাম বিরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন। সুজন পরিবারের সঙ্গে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান গ্রামে বসবাস করতেন। সুজন তার স্ত্রী-সন্তান ও ভাগনেকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। সুজন মোহনগঞ্জে মিলন শিল্পালয় নামের এক সোনার দোকানে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন।

অটোরিকশার যাত্রী ইন্দ্রজিৎ বর্মন জানানস, ভোরে তিনি তার মামা, মামী এবং তার মামাতো বোনসহ চারজন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নেত্রকোণা সদরের কান্দুলিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপোরোয়া গতির একটি পিকআপের সঙ্গে তাদের অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সুজন বর্মনসহ সিএনজি যাত্রী সবাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজন বর্মনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনকে প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নেত্রকোণা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. আব্দুস সালাম বলেন, সকালে অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে সুজন নামে একজন নিহত হয়েছেন। আরও তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক পিকআপের ড্রইভার পলাতক রয়েছেন। দুর্ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

চয়ন দেবনাথ মুন্না/কেএ