হাওর সাঁতরে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে যুবক, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৩ উপজেলা
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনায় ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় এক মানসিক রোগী উঠে পড়ায় তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো বন্ধ ছিল। বুধবার (২৬ জুন) সকালে ইটনা উপজেলার এলেংজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে নামাতে ঘটনাস্থলে আসে ইটনা ফায়ার সার্ভিস। কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিঠামইন জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে পড়া এই মানসিক রোগীর নাম আলমগীর হোসেন (২৭)। তিনি অষ্টগ্রাম উপজেলার এলেংজুরী গ্রামের মনজিল মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি বুধবার সকালে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে হাওর সাঁতরে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে পড়েন। পরে স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানালে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইটনা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। উদ্ধারের পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ২৩টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। তিন উপজেলার অষ্টগ্রামে ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনা আংশিকে ২০ হাজারসহ প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, মিঠামইন জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, একজন মানসিক রোগী টাওয়ারে উঠে পড়ার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। হাওরের তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
মোহাম্মদ এনামুল হক/আরকে