নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেল বহনকারী ট্রলারে লাগা আগুন ফের জ্বলে উঠেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিকেলে ফোম দ্বারা চাপা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও নিখোঁজদের সন্ধান চালাতে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে সেই ফোম উঠালেই কিছুক্ষণ পরপর আগুন জ্বলে উঠছে। 

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফখরউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ট্রলারটিতে এখনো বেশ কিছু পেট্রোল ও ডিজেল থেকে যাওয়াও আগুন জ্বলে উঠছে। 

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি ট্রলারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার থেকে দগ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। তবে তার নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের পরপরই কামাল নামে একজন শ্রমিককে দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারটি ভোলার মনপুরার সেলিম হাজী নামে এক ব্যক্তির বলে জানান সেখানে অবস্থানরত নৌকার মাঝি বাকের মিয়া। দুর্ঘটনায় বাবুল মোল্লা, খায়রুল মিস্ত্রী, খোকন নামে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও নিহত, আহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান বলেন, পেট্রোল ও ডিজেল ড্রামগুলোতে ভর্তি করা হচ্ছিল। ট্রলারে ৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে। ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব তেলবাহী ড্রাম আগুনে বিস্ফোরিত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম বলেন, ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা হচ্ছিল। সেই সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। 

শিপন সিকদার/আরএআর