টানা ৩২ বছর কারাগারে থাকা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ আসর তার নিজ গ্রাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সাধুর বাজার সংলগ্ন একটি মাঠে জানাজার পর ইছাখালী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ জুন) ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জল্লাদ শাহজাহানের মৃত্যু হয়। 

স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের খামখেয়ালির কারণে গতকাল মরদেহ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়ে দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

জানা গেছে, সাভারের হেমায়েতপুরের কাশেম আলীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান। সেখানে সোমবার ভোররাতে তার বুকে ব্যথা ওঠে। পরে ভোর ৪টার দিকে বাড়ির মালিক তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ ঘাতক, ৬ জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান। ২০০১ সাল থেকে তিনি ফাঁসি কার্যকর শুরু করেন।

শাহজাহান ভূঁইয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম হাছেন আলী ভূঁইয়া। নানান অপরাধে গ্রেপ্তারের পর শাহজাহান ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে যান। ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

তন্ময় সাহা/আরএআর