রংপুরে মরিচ খেত থেকে মুখপোড়ানো অটোবাইক চালক মোহাম্মদ আলী রকির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন– রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মোক্তার হোসেন (৩৯), মোকছেদুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ান মিয়া (২১) ও একই উপজেলার আশরাফপুরের কেরামত আলীর ছেলে ইসলাম মিয়া (২৪)।

সোমবার (২৪ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সালমান নূর আলম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার (২৩ জুন) রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্কুরণী ইউনিয়নের পালিচড়া কাটাবাড়ি জমিদারপাড়া বিলে আকমল হোসেনের মরিচ খেতে অটোবাইক চালক মোহাম্মদ আলী রকির (১৭) মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের নানি মঞ্জিলা বেগম লাশটি শনাক্ত করেন। পরে ঘটনাটি স্থানীয়সহ সারা দেশের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নিহতের খালু মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১৩’র একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২৩ জুন) মধ্যরাতে মিঠাপুকুরের আলীপুর থেকে সন্দেহভাজন অটোবাইক চালক রেদোয়ান মিয়াকে প্রথমে আটক করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিনই আলীপুর থেকে ইসলাম মিয়া এবং সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে মামলার বাদী মোক্তার হোসেনকে পায়রাবন্দ এলাকা থেকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, মামলার বাদী অর্থাৎ ভিকটিমের খালু মোক্তার হোসেনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সহযোগী অটোবাইক চালক রেদোয়ান মিয়া ভাড়ার কথা বলে ভিকটিমসহ তারা কাটাবাড়ি জমিদারপাড়া বিলের মরিচ খেতের পাশে যায়। সেখানে পৌঁছালে মোক্তার হোসেন তার ভাগিনা মোহাম্মদ আলীর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেসময় মোক্তারের নির্দেশে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গোপনাঙ্গসহ পুরো শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেয় রেদোয়ান মিয়া। পরে মরদেহ মরিচ খেতে ফেলে রেখে অটোবাইকের চারটি ব্যাটারি খুলে নিয়ে যান তারা।

আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সালমান নূর আলম।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসএসএইচ