কিশোরগঞ্জে দুই ছাত্রলীগ নেতা ও এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের আমলি আদালত নং-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান মামলা আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানাকে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন (৩০) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ শহরের বয়লা তারাপাশা এলাকার নাজমুল হোসেন হিরা এবং ও সুমনের বড় ভাই যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন মোল্লা বাবুল। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া, ভয় দেখিয়ে প্রায় আট লাখ টাকা আদায়সহ নানাভাবে এক তরুণীকে হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী তরুণী কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।  

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মোল্লা সুমন বলেন, এখানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাকে এবং আমার বড় ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সামনে সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন, তাই এই মামলায় আমার ভাইকে জড়ানো হয়েছে।  

মো. নাজমুল হোসেন হিরা বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী। আমি আমার স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ও আমার স্ত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আমি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। সেই মামলায় আমার স্ত্রী সাক্ষী। আমি ও আমার মামা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। হয়তো কারও প্ররোচনায় পূর্বের সেই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।  

মামলার বাদীর আইনজীবী কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, আমরা আদালতে মামলাটি দায়ের করলে আদালত মামলাটিকে এফআইআর করার নির্দেশ দিলেও এখনও মামলাটির আদেশ কপি বের হয়নি। 

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, আমাদের থানায় এখনও আদালতের কোনো নির্দেশনা এসে পৌঁছায়নি। আমাদের কাছে আসামাত্র আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এনএফ