শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায় এসেছেন মালদ্বীপের সাঁই নামের ৩২ বছর বয়সী এক যুবতী। জেলার চৌদ্দগ্রামের যুবক জহিরকে (৩৫) বিয়ে করে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) মালদ্বীপ থেকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্বশুরবাড়ি আসেন এই দম্পতি।

এর আগে গত ১৬ জুন মালদ্বীপের রাজধানী মালের অটবি কমিউনিটি সেন্টারে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয় তাদের। বর মো. জহির কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে। তিনি মালদ্বীপে ইলেক্টনিকস পণ্য বিক্রি করেন। মালদ্বীপের যুবতী সাঁই মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট অপারেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি রাজধানী মালের বাসিন্দা।

বর জহির হোসেন জানান, ১০ বছর ধরে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে এসিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবসা করছেন তিনি। ব্যবসার সুবাদে মালদ্বীপের সাঁই মাঝেমধ্যে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় দুই বছর তাদের মধ্যে প্রেম ছিল। পরবর্তীতে সাঁই তার বাবা-মাকে তাদের সম্পর্কের কথা বললে তার পরিবার জহিরকে ডেকে বাসায় এনে তার সম্মতি জানতে চান। জহির তার পরিবারের সঙ্গে মুঠোফোনে বিয়ের মতামত চাইলে তার পরিবারও সম্মতি জানান। পরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। গত ১৬ জুন মালের অটবি কমিউনিটি সেন্টারে ৪ হাজার মালদ্বীপের রুপি কাবিনে ধুমধাম করে বিয়ে হয় এই যুগলের।

কনে সাঁই জানান, বাংলাদেশের মানুষ অনেক আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশের মানুষের সারল্যপণায় মুগ্ধ হয়ে জহিরের প্রেমে পড়েন তিনি। স্বামী হিসেবেও উপযুক্ত মনে হওয়ায় জহিরকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে তার। শ্বশুর-শাশুড়িও অনেক ভালো। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসছেন তাদের দেখতে, এ বিষয়টি আরও মুগ্ধ করে সাঁইকে।

জহিরের বাবা মাহবুব আলম বলেন, জহির আমার তৃতীয় ছেলে। মালদ্বীপে ব্যবসা করে। ছেলে যেহেতু মেয়েটিকে অনেক পছন্দ করেছে তাও আমরাও রাজি হয়েছি। ছেলে তার বউকে নিয়ে গ্রামে এসেছে। একমাস থাকবে। নতুন এই দম্পতি যেন সুখী হয় সবার কাছে দোয়া চাই।

আরিফ আজগর/এমএএস