নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। 

মৃতরা হলেন নেত্রকোণা সদর উপজেলার সাতপাই এলাকার বাসিন্দা মো. আল মামুনের ছেলে তাসকিন (৭), পূর্বধলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নোমান (৮) ও বিশকাকুনী ইউনিয়নের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সালমা আক্তার (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে তাসকিন পরিবারের সঙ্গে পাঁচমারগেন্ডা গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় সেখানে তার সমবয়সি নোমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এরপর অনেকক্ষণ পর তারা বাড়িতে না আসায় স্বজনেরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে এলাকায় মাইকিং করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকাল ১০টার দিকে তাদের নানি পারভিন আক্তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০মিটার দূরে দেইড়া নদীতে দুই শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখেন।

অন্যদিকে একই দিন সকালে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন সালমা আক্তার। গতকাল শনিবার সকালে হাতমুখ ধোয়ার সময় বাড়ির সামনের পুকুরে পড়ে যান সালমা। ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় সালমার মা জোৎস্না বেগমসহ বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, সালমা আক্তার মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি সাঁতার জানতেন না। তিনটি মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

চয়ন দেবনাথ মুন্না/এএএ