রাসেলস ভাইপার মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়ার তিনদিন পর আজ রোববার সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক পত্রে এ সিদ্ধান্ত জানায় তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ পিয়ার।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, গত ২০ জুন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে রাসেলস ভাইপার সাপ সম্পর্কিত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা প্রকৃতপক্ষে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থি। বিষয়টি বন ও পরিবেশ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ সর্বসম্মতভাবে রাসেল ভাইপার সংক্রান্ত ঘোষণাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুইয়া বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা জীবিত বা মৃত যাই হোক বন্যপ্রাণী এভাবে ধরার নিয়ম নেই। এ ছাড়া রাসেলস ভাইপার সাপ খুব বিষাক্ত প্রাণী তাই এটা ধরা বা মারা উভয়ই বিপজ্জনক।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতার ঘোষিত পুরস্কারের আশায় গতকাল শনিবার জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে নিয়ে যান কৃষক রেজাউল খান (৩২)। তবে বন বিভাগের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ তাকে পুরস্কারের টাকা দেয়নি। 

জহির হোসেন/এএএ