পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় শর্তসাপেক্ষে প্রায় ছয় দিন পর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) দুপুর থেকে এসব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া শর্তের মধ্যে রয়েছে- জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে জাফলংস্থ ইঞ্জিনবোট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের সময় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা নৌকা চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। আজ থেকে আবারও নৌকা চলাচলের অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে আমাদেরকে কিছু শর্ত ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর থেকে অনেক পর্যটক ইতোমধ্যে ভ্রমণে এসেছেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও চলাচলের সুব্যবস্থা আছে জাফলংয়ে। আমরা পর্যটকদের আহ্বান জানাব আপনারা জাফলং ও মায়াবী ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসুন। আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ আতিথেয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের উপজেলাগুলোতে পর্যটন কমিটি রয়েছে। গোয়াইনঘাটের পর্যটন কমিটি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তাই আজ দুপুর ১টা থেকে এসব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জৈন্তাপুর ও কোম্পানিগঞ্জের পর্যটন কমিটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। তবে পর্যটনের বিষয়টি আমরা পজিটিভলি দেখছি।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন মঙ্গলবার পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে সিলেট জেলা প্রশাসন।

মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ