বরগুনার আমতলীতে ৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সেতুটিকে ছয় মাস আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুর দুই পাশে টানানো হয়েছিল সতর্কীকরণ নোটিশও।

শনিবার (২২ জুন) রাতে আমতলী উপজেলার স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

২০০৫-০৬ অর্থবছরে হালকাযান (ফুটওভার ব্রিজ) প্রকল্পের আওতায় জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এ সেতু। নির্মাণের ১৮ বছরে সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। তবে ৬ মাস আগে লোহার এই সেতুকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও নির্দেশনা মানায় উদাসীনতা ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। আর নির্দেশনা না মেনে মাইক্রোবাস চলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন বরগুনা জেলা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হায়েস গাড়িটি হালকাযানের মধ্যেই পড়ে। সেতুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ব্রিজের দুই পাশে নোটিশ টানানো ছিল। চালকের গাফলতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্দেশনার পাশাপাশি সেতুর দুই পাশ ভালো করে আটকে দেওয়া উচিত ছিল, যাতে যানবাহন চলাচল করতে না পারে।

জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ আয়রন ব্রিজটি হালকাযান (ফুটওভার ব্রিজ) প্রকল্পের আওতায় জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ২০০৫-০৬ অর্থবছরে নির্মিত হয়েছিল। প্রায় ১৮ বছর আগে নির্মিত সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ছয় মাস আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেতুর দুই পাশে সতর্কতা নোটিশ টানানো হয়। সেটি উপেক্ষা করে এত বড় গাড়িটি সেতুতে ওঠার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এসএসএইচ