বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৭ মাস বয়সী শিশু সাবরিন খান বেঁচে ফিরলেও মা রাইতি খান (২২) নিহত হয়েছেন। মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য তার আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চাওড়া নামক এলাকার হলদিয়া হাটের সঙ্গে সংযুক্ত সেতু ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোট ৯ জন নিহত হয়েছে।

সরেজমিনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সাত মাস বয়সী অবুঝ শিশু সাবরিন স্বজনদের কোলে চড়ে মায়ের খোঁজ করছে। তবে মাকে খুঁজে না পাওয়ায় তার কান্না থামছেই না। স্বজনরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে শান্ত করতে পারছে না। এমনকি বাবার কোলেও থামছে না সাবরিনের কান্না।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুলাই) বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তক্তাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহর মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার পৌরশহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিএম সাইফুর রহমান সোহাগের। ওইদিনই হুমায়রাকে আনা হয় সোহাগের বাড়িতে। এরপর শনিবার হুমায়রার বাবা স্বজনদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বৌভাতে যেতে রওনা হন। পথে আমতলী উপজেলার হলদিয়ার চাওড়া এলাকার সেতুতে উঠলে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে ডুবে যায়। এসময় মাইক্রোবাসে ১৭ জন যাত্রী ছিল। পরে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাস থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ৯ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাইতি খানের স্বামী ও শিশু সাবরিনের বাবা মো. সোহেল খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার খালাতো বোনের বিয়েতে খালুর বাড়িতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। বোনের শ্বশুর বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ে স্ত্রী ও মেয়েসহ আমি মাইক্রোবাসের ভেতরে ছিলাম। সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে ডুবে গেলে জানালা ভেঙে মেয়েকে নিয়ে আমি বের হতে পারলেও আমার স্ত্রীকে বের করতে পারিনি।

মো. আব্দুল আলীম/এসএসএইচ