পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। এতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা ফেরি অথবা লঞ্চে পাটুরিয়া যেতে পারছেন।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার (২২ জুন) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন এবং ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চ ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীরা বিভিন্ন বাস, প্রাইভেট কার, ত্রি-হুইলারে করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরি অথবা লঞ্চে পাটুরিয়া যাচ্ছে। এছাড়াও ঘাট এলাকায় আসা দূরপাল্লার পরিবহনগুলো সিরিয়াল ছাড়াই ফেরিতে উঠতে পারছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ থাকলেও তারা স্বস্তিতেই যাত্রা করতে পারছেন।

ঢাকাগামী যাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে গ্রামে ঈদ কাটালাম। খুব ভালো লাগল। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না।

শিহাব শেখ নামে অপর এক যাত্রী জানান, এবার ঘাটে কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে ভাড়াটা বেশি নিয়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রাটা ভালোই ছিল।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের বহরে থাকা ১৮টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে। তবে ঘাটে কিছু যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। যাত্রীরা স্বস্তিতেই পারাপার হচ্ছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর