কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, হাঁড়িভাঙা আম ও সবজি সংরক্ষণের জন্য দেশের প্রথম বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপন করা হবে মিঠাপুকুরে। সেই সাথে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ ও বাজারজাতকরণে মার্কেট লিংকেজ এবং আম চাষীদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।

গতকাল বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে জিআই পণ্য হাঁড়িভাঙা আম মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাঁড়িভাঙা জিআই পণ্য হয়েছে তা বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। আম চাষিদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।  

এদিকে রংপুরে গতকাল থেকে হাঁড়িভাঙা আমের বিক্রি শুরু হয়েছে। দাম কিছুটা চড়া হলেও হাঁড়িভাঙার স্বাদ নিতে ভিড় বেড়েছে হাট-বাজারগুলোতে। এই আম ঘিরে চাষি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বর্তমানে আকারভেদে প্রতি মণ হাঁড়িভাঙা আম ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির বাগানে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড়শ কোটি টাকার ওপরে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএফ