‘রাসেলস ভাইপার সাপ মারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে’- ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফের এমন বক্তব্যের এক দিন পরেই বক্তব্য পাল্টালো জেলা আওয়ামী লীগ। পুরস্কারের এই টাকা পেতে হলে জীবিত অবস্থায় সাপটি ধরতে হবে।

শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংশোধনী শিরোনামে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় আলোচ্যসূচির  ‘বিবিধ’ পর্যায়ে বিষধর রাসেলস ভাইপার সর্প প্রসঙ্গে জনস্বার্থে প্রতিকার সম্পর্কিত আলোচনা হয়। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ ঘোষণা দেন যে, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন কেউ যদি নিজেকে রক্ষাকারী পোশাক সম্বলিত হয়ে এবং সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বনপূর্বক জনস্বার্থে রাসেলস ভাইপার সর্পটি জীবিতাবস্থায় ধরতে পারেন তবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে।

বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্যটি বিকৃত আকারে ‘সাপ মারতে পারলে’ হিসাবে প্রকাশিত হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এর আগে ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেলে ব্যাপক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে বক্তব্য পাল্টালো জেলা আওয়ামী লীগ। 

সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও ফরিদপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ঝর্না হাসানের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরের কোতোয়ালি (সদর উপজেলা) এলাকায় কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিটি সাপ মারার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যত জন যে কয়টি সাপ মারতে পারবে প্রত্যেক সাপ প্রতি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’

জহির হোসেন/আরএআর