মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে, গর্জে উঠতে হবে। আমাদের সন্তানদের কি দায়িত্ব নেই? অন্যরা কোটা নিয়ে কথা বললে আমাদেরও কথা বলতে হবে। শুধু কাগজে-কলমে কোটা লিখলে হবে না। সম্মানজনক হারে কোটা পুনর্বিন্যাস করে শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। 

গতকাল সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মধ্য ভদ্রঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আমি গ্রামের ছেলে, গ্রাম এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদে ৭ বার অর্থাৎ ৩৫ বছর ‘চেয়ারম্যানি’ করেছি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বাড়িয়েছেন। তিনি থাকলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব দাবি পূরণ হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঢাকায় উন্নত ২২টি হাসপাতালে সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাস থেকে সারা দেশে মৃত মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে। যা দেখে সহজেই যে কেউ বুঝতে পারবে মুক্তিযোদ্ধার কবর। আমরা সরকারে থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করেছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলে চলাচলের রাস্তা পাকা করা হবে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহ-অধিনায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস। এতে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে. এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সবুজ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। 

শুভ কুমার ঘোষ/এনএফ