শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একাত্তরের বীরাঙ্গনা ও নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া (৭৬) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে এ নারী মুক্তিযোদ্ধা এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই আলবদর, রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় সোহাগপুর গ্রামে। বেনুপাড়ার সব পুরুষকে (১৮৭ জন) হত্যা করে পাড়াটিকে পরিণত করা হয়েছিল বিধবাপল্লিতে। ওই দিনই বিধবা হন ৫৭ জন নারী। গণহত্যায় করফুলি বেওয়া স্বামীসহ পরিবারের তিনজনকে হারান। এ সময় অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয় নারীদের।

পরে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে তৃতীয়টি ছিল সোহাগপুরে হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তিনজন সাক্ষীর একজন ছিলেন করফুলি বেওয়া। পরবর্তীতে করফুলি বেওয়াসহ অনেকেই বীরাঙ্গনা ও নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান। 

বৃহস্পতিবার বাদ এশা সোহাগপুর বিধবাপল্লি মাঠে জানাজার পর তাকে সোহাগপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

নাইমুর রহমান তালুকদার/এমজে