কোরবানির পশুর হাটে একটি খাসির ছবিসহ ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের ছেলে বলে জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজাম হাজারী বলেন, ইফাত আমার মামাতো বোনের স্বামী মতিউর রহমানের দ্বিতীয় সংসারের ছেলে। ইফাতের মা শিবলী ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আরু চেয়ারম্যান বাড়ির মিল্লাত মিয়ার মেজো মেয়ে।

নিজাম হাজারী ঢাকা পোস্টকে আরও বলেন, মতিউর রহমান রাগ করে ইফাতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন বলে ধারণা করছি। কেননা তিনি (মতিউর রহমান) সব সময় আমার মামাতো বোনের সঙ্গে নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এর আগে গতকাল বুধবার (১৯ জুন) মুশফিকুর রহমান ইফাতের সঙ্গে নিজের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্কও নেই বলে মন্তব্য করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় বিব্রত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মতিউর রহমান কর্মজীবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, বৃহৎ করদাতা ইউনিট, ঢাকা বন্ড কমিশনারেট রাজধানীর বিভিন্ন কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ভাইরাল হওয়া সেই খাসির জন্য এক লাখ টাকা বুকিং দিলেও নিতে আসেননি এর ক্রেতা মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক।

উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রো বিটল প্রজাতির ওই খাসিটির দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। পরে ওই ক্রেতার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি হয় তাদের। তবে ‘বিশেষ একটি কারণে’ খাসিটির মূল্য ও এর ক্রেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বাবা পরিচয় দিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন স্ট্যাটাসে করছেন আলোচনা-সমালোচনা।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ