পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুনামগঞ্জের বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রকল্প নেওয়া আছে। আমরা ২০টি নথি মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। সুনামগঞ্জের বন্যা প্রতিরোধে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই আমরা প্রকল্পটি একনেকে পাস করানোর পরই কাজ শুরু করবো। আমরা তখন ২০টি নদীতে একসঙ্গে কাজ শুরু করবো। প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী বছরগুলোতে এই এলাকায় পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে বন্যা থেকে এই এলাকার মানুষ রক্ষা পাবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার উন্নয়ন চান। এই জেলাগুলোর প্রতি ভিন্ন ধরনের ভালোলাগা আছে প্রধানমন্ত্রীর। সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি তিনি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।

শহর রক্ষা বাঁধ হবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় বাঁধ দেওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত না। এটা খুব ব্যয়বহুল একটি প্রকল্প। আমাদের মাথায় সবকিছুই আছে। প্রথমেই আমাদের চিন্তা করতে হবে বাঁধ দেওয়ার আগে যেখান দিয়ে পানি নেমে আসে সেখানে পানির ধারণক্ষমতা থাকতে হবে। পানি যাতে সহজে নেমে যায় সেই প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। আমরা যদি এটা করতে পারি তবে আর শহর রক্ষা বাঁধের প্রয়োজন হবে না। 
তিনি আরও বলেন, মূল জায়গার সমস্যা যদি আমরা সমাধান না করি তবে শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে শহর রক্ষা করা যাবে না। যা করলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সার্বিকভাবে রক্ষা পাবে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শুধু আপনাদের ধৈর্য ধরতে হবে। বৈশ্বিক মন্দার এই পরিস্থিতিতেও কিন্তু আমাদের প্রকল্প চলমান আছে। খুব সহসাই আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রঞ্জিত সরকার, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এমজেইউ