কুড়িগ্রামের উলিপুরের তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে শিশুসহ ৬ জন। ৬ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনই শিশু ও দুইজন স্বামী-স্ত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। অপর দিকে তিস্তার পাড়ে অপেক্ষায় আছেন স্বজনেরা।

এর আগে বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার আগে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পুরাতন বজরা ঘাট থেকে নৌকায় করে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিল শিশু নারীসহ ২৫ জন যাত্রী। নৌকাটি তিস্তার ওপারে একই ইউনিয়নের দামার হাট ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছাতেই তিস্তার তীব্র স্রোতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ও সাঁতার কেটে জীবিত উদ্ধার হন ১৮ জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আর বাকি ৬ জনকে উদ্ধারে নদীতে তল্লাশী চালাচ্ছে রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কিন্তু তীব্র স্রোতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যকম।

নিখোঁজদের স্বজন আরিফুর ইসলাম বলেন, আমার ৬ জন লোক এখনো নিখোঁজ আছে। আর একটা বাচ্চা মারা গেছে। আর বাকি যারা ওই নৌকাটিতে ছিল সবাই আমরা অসুস্থ। বিয়ের বাড়ি না, দাওয়াত খাইতে যাওয়ার সময় আমাদের নৌকাটা ডুবে যায়।  

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে তিস্তা নদীতে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। গতকালই জীবিত ১৮ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করি আমরা। নিখোঁজদের সন্ধান না মেলা পর্যন্ত আমাদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকবে। ১০/১২ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকায় ২৫ জন যাত্রী ওঠায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জুয়েল রানা/আরকে