পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ (নিলাদ্রী) লেক, বারেকটিলা, শিমুলবাগানসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন এই নির্দেশনা প্রদান করে।

তাহিরপুর উপজেলা সূত্রে জানা যায়, ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তাহিরপুর উপজেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র।

তাহিরপুর এলাকার হাউজবোট মালিক ইয়াসির আরাফত অপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে আমার লোকসান গুনতে হচ্ছে। কয়েক দিন আগে আমি নতুন নৌকা নামিয়েছি হাওরে। ভেবেছিলাম ঈদের পরে ট্রিপ শুরু করবো। আমার নৌকা বুকিংও ছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আমার প্রায় ১০ লাখের অধিক টাকা লোকসান পোহাতে হবে।

আরেক হাউজবোট মালিকপক্ষের এ. আর অমিত বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে যত বেশি পানি ততই সুন্দর। কিন্তু বন্যার এই সময়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষেধাজ্ঞায় অনেক পর্যটক এই সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবে। আমাদের আটটি ট্রিপ বাতিল করেছি। ঈদের এই সময়ে কেউ চায় না তাদের ট্রিপ বাতিল হোক। কিন্তু বিধিবাম, কিছুই করার নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আজরান হোসেন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের একটি দল আগামী ২০ জুন টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সুনামগঞ্জের সকল পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে আসার কথা ছিল। বন্যা এবং টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের ট্রিপটি বাতিল করেছি।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এমজেইউ