সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঈদুল আজহার পরেরদিনেও নাড়ির টানে প্রিয়জনদের কাছে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। তবে এদিন দুপুর পর্যন্ত কিছু মানুষকে কর্মস্থলে ফিরতেও দেখা গেছে। এ সময়ে উত্তরের এই মহাসড়কে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও বেশিরভাগ সময়ই অনেকটাই ফাঁকা ছিল। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের চেয়েও মহাসড়কে যানবাহন খুবই কম। অনেক সময়ই মহাসড়ক ফাঁকা থাকছে। তবে ঈদের পরেরদিনেও বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। এছাড়া কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ঢাকাগামী অন্তত ১৫-২০টি বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও মিলছে না আশানুরূপ যাত্রী। 

খোলা ট্রাকে ঢাকা থেকে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছেন গার্মেন্টসকর্মী নাজমা আক্তার। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নামার পরেই কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের আগে আসতে পারিনি। তবে ঈদের পরেরদিন হলেও প্রিয়জনদের কাছে যাচ্ছি। আগে না আসতে পারার কষ্ট নেই। কারণ পরে এসেছি যেন বাড়ির সবার সঙ্গে কয়েকদিন বেশি থাকতে পারি। 

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের সুপারভাইজার আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো তেমন কেউ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেননি। এখন যারা যাচ্ছেন তারা নেহাতই বাধ্য হয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে যাত্রীও তেমন হচ্ছে না। এখান থেকে একটা বাস ভর্তি করে ছেড়ে যেতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যান চলাচল খুবই কম। তারপরও আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ধারণা করছি আগামী শনিবার ও রোববার মহাসড়কে কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের ও যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে। ঈদ পরবর্তী যাত্রাতেও মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি থাকবে না বলে আশা করছি। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে