টানা বৃষ্টি, উজানের ঢল, জলাবদ্ধতা আর বন্যার মধ্য দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিতে দিনভর ভোগান্তির মধ্যে পড়া সিলেটের মানুষদের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে টানা বৃষ্টির বিরতি।

সোমবার (১৭ জুন) সিলেট নগর ও আশপাশের উপজেলায় দিনশেষে পানি নেমেছে কয়েক ফুট। নগরের বেশ কিছু এলাকার বাসা বাড়ি থেকে পানি নামার খবর পাওয়া গেছে।

সিলেট নগরীর লালাদিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা ইমরান আহমদ জানান, সকালে আমার ঘরে কোমর পানি ছিল। দিনশেষে সেটি হাটুর নিচে এসেছে। পানি অনেকখানি নেমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সিলেট জেলার বেশ কয়েকটি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টের পানি ওঠানামা করেছে। এর মধ্যে দুইটি পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার ওপরে রয়েছে। কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার ওপরে থাকলেও গতকাল থেকে পানি কিছুটা কমেছে। গতকাল থেকে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়াও দুপুরে সারি নদীর পানি বিপদ সীমার ওপরে থাকলেও সন্ধ্যায় সেটি বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৯ মিলিমিটার। এরমধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৬ মিলিমিটার। সকালের তুলনায় সারাদিনের বৃষ্টিপাত সেই হিসাবে অনেক কম ছিল।

মাসুদ আহমদ রনি/এমএ