‘ব্যবসায়ীরা ছাগলের চামড়া কিনছে না। তারা দামই বলছে না। আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রতি পিস ছাগলের চামড়া ১০ টাকা দামে কিনেছি। কিন্তু বিক্রি করতে এসে দেখছি কেনা দামও বলে না। ৫১ পিস খাসির চামড়ার দাম বলতেছে ৩০০ টাকা। যা কেনা দামের অর্ধেক। সে হিসেবে একটি খাসির চামড়ার দাম পড়ছে ৫ টাকার একটু বেশি।’ 

সোমবার (১৭ জুন) রাজশাহী নগরীর সপুরা গোরহাঙ্গা এলাকায় খাসির চামড়া বিক্রি করতে এসে এভাবে বলছিলেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন। তিনি রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১০ টাকা পিস দরে খাসির চামড়াগুলো কিনেছিলেন। 
  
অপর মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, শুধুমাত্র আমরা ঈদের এই সময়ে চামড়া কেনাবেচা করি। কিন্তু এবার চামড়ার দাম খুবই কম। আমার কাছে ছাগল খাসিও ভেড়া মিলে ৫৩ পিস চামড়া রয়েছে। এই চামড়াগুলোর দাম বলেছে মাত্র ৩০০ টাকা। ছাগলে চামড়া কেনার চেয়ে দাম কম। এর ফলে লস হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বলা যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত চামড়া বিক্রি হবে কিনা। কারণ চামড়ার দাম অর্ধেক বলছে। তারা প্রতি পিস ছাগলে চামড়া ১০ টাকা দরে কিনেছি। তার সাথে নিজের ও শ্রমিক খরচ আছে। আলাদা ভাবে যানবাহনের ভাড়া আছে। সব মিলে চামড়াগুলো কেনা দাম পেলেও বিক্রি করে দেব। 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রুবেল বলেন, খাসির চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা দামে। বাজার এমন কী আর বলব।

শাহিনুল আশিক/আরকে