গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবার গ্রামের পর শহর আক্রান্ত হয়েছে। পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। শহরের অনেক দিকের রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত। ঈদের আনন্দ বাদ দিয়ে ঘর ঘোচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের বড়পাড়া, তেঘরিয়া, দক্ষিণ আরপিন নগর, কাজীরপয়েন্ট, বাধন পাড়া, মরাটিলা এলাকার মানুষ।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, করেছে বিপৎসীমা অতিক্রম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশু নিয়েও বিপাকে আছেন সুনামগঞ্জের মানুষ। বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবলু আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি শুরু, এখন অবধি চলছে। এতে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। বাসায় সামনে হাঁটু সমান পানি। ঈদের দিন আমরা বাসায় বসে সময় পার করছি।

কাজীরপয়েন্ট এলাকার ব্যবসায়ী রনেস ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি আমার দোকানের সব মালামাল পানিতে ভেসে আছে। ঈদের জন্য যে মালামাল তুলেছিলাম তার বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।

একইভাবে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, ছাতক, ধর্মপাশায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। প্লাবিত হয়েছে প্রায় শতাধিক গ্রাম। প্রতিদিন বন্যার কবলে পড়ছে নতুন নতুন গ্রাম। স্থানীয় সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে জানান, স্বল্পমেয়াদি বন্যা চলছে। তবে এই বন্যা বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষের জন্য শুকনা খাবারের পাশাপাশি গবাদিপশুর জন্য খাদ্য ও নৌকা প্রস্তুত আছে।

এমজেইউ