পাটুরিয়া-আরিচা ফেরিঘাটে নেই যানবাহনের চাপ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সকাল থেকে যাত্রীর চাপ থাকলেও স্বস্তিতে ঘাট পার হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলার মানুষ। সকাল থেকে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও পরিবহন বাসের চাপ থাকলেও ফেরি পারাপারে নেই ভোগান্তি। এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তিতে ঘাট পার হচ্ছে ঘরমুখো মানুষেরা। তবে নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যানবাহন ও যাত্রীরা ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।
শনিবার (১৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআিইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে চলাচল করে থাকে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। তবে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৮টি ফেরি রয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনে বাড়তি চাপ না থাকলে অনেক সময় দুচারটি ফেরিঘাটে নৌঙর করে রাখা হয়। আবার যানবাহন বেড়ে গেলে ১৮টি ফেরি দিয়েই যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হয়। আজকে সকালের দিকে ছোট গাড়ি, পরিবহন বাসের কিছুটা ছিল, তবে দুপুরের দিকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। আর সকাল থেকে কাটা যাত্রীর চাপ রয়েছে ঘাট এলাকায়। গতকাল সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করে চার হাজার ২৩৩টি যানবাহন পার হয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন বাস ৩৪২টি, প্রাইভেট কার ৮৭৯টি, মাইক্রোবাস ২২১টি, জিপ গাড়ি ১৯টি, পিকআপ ৮৭টি, ডেলিভারি ভ্যান ১৪৫টি, মোটরসাইকেল ২০১৫টি এবং প্রাক ৪৮৯টি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিগুলো পাটুরিয়া ঘাট হতে দৌলতদিয়া ঘাটে উদ্দেশ্যে ১২৬টি ট্রিপ দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে এই নৌরুটে ১৮টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, এই সময়ে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীর অববাহিকায় তীব্র স্রোত রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক সময় থেকে বর্তমানে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। কিন্তুর ঘাট পারাপারে কোনো ভোগান্তি নেই, স্বস্তিতেই এবারের ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। আজকে সকালের দিকে কিছুটা চাপ ছিল, তবে দুপুরের দিকে ঘাট এলাকায় তেমন যানবাহন নেই। ফলে ১৮টি ফেরি মধ্যে ৪টি ফেরি ঘাটে অলস বসে আসে। কিন্তু বিকেলের দিকে যানবাহনের সংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে ১৮টি ফেরি দিয়েই অপারেশন পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
সোহেল হোসেন/আরকে